সৌদি আরবের ঈদ কবে ২০২২ | বাংলাদেশের কুরবানির ঈদ কবে 2022

কোরবানির ঈদ  ২০২২। কোরবানির ঈদ 2022 কত তারিখে।  ২০২২ কোরবানির ঈদ কত তারিখে।  ঈদুল আযহা ২০২২ কত তারিখে বা 2022 ঈদুল আযহা কত তারিখে।তা জানার জন্য আমরা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় খুঁজে থাকি । তার মধ্যে অন্যতম একটি সাইট হল গুগোল তাই আমরা আপনাকে আমাদের এই পোষ্টের মাধ্যমে জানাবো যে ২০২২ কুরবানীর ঈদ কবে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ইনশা আল্লাহ্‌

সৌদি আরবের ঈদ কবে ২০২২ | বাংলাদেশের কুরবানির ঈদ কবে 2022
সৌদি আরবের ঈদ কবে ২০২২ | বাংলাদেশের কুরবানির ঈদ কবে 2022

2022 সৌদি আরব এবং বাংলাদেশের কুরবানির ঈদ কবে অনুষ্ঠিত হবে

ভৌগলিক অবস্থানের কারণে বিভিন্ন দেশে ভিন্ন ভিন্ন তারিখে ঈদ উদযাপন করা হয়। আমরা জানি ইসলামিক সকল ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে থাকে এর কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ভৌগলিক অবস্থানের কারণে চাঁদ দেখার সময় ও তারিখ ভিন্ন হয়ে থাকে।

ঈদুল ফিতর কিংবা ঈদুল আযহা এই দিবসগুলো অনুষ্ঠিত হওয়া এবং না হওয়া যেহেতু শরীয়তে চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল সেহেতু চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হচ্ছে যেদিন ঈদের চাঁদ দেখা দেবে ঠিক সেদিন এই ঈদ অনুষ্ঠিত হবে তবে  আমরা চেষ্টা করব বিজ্ঞানের আলোকে যেই তারিখ টিতে চাঁদ ওঠার সম্ভাবনা রাখে অধিক তর

২০২২ সৌদি আরবের ঈদ কবে হবে

সবচেয়ে মজার বিষয় হলো আমরা বাংলাদেশীরা ঈদ অথবা রোজার ক্ষেত্রে সৌদি আরবের ঈদ বা রোজা কবে হবে সেই বিষয়টি জানার খুবই আগ্রহ প্রকাশ করি এবং খুব বেশি সার্চ করে থাকি তাই আজকে আমরা আমাদের এই পোষ্টের মাধ্যমে জানিয়ে দেবো কোরবানির ঈদ 2022 বাংলাদেশ কবে অনুষ্ঠিত হবে এবং 2022 কোরবানির ঈদ সৌদি আরব কবে অনুষ্ঠিত হবে । যেহেতু বাংলাদেশের তুলনায় সৌদি আরবের চাঁদ একদিন আগে হয়ে  দেখা যায়  সে হত 2022 কোরবানির ঈদ সৌদি আরব পালিত হবে ০৯ জুলাই ২০২২ 

২০২২ বাংলাদেশের  ঈদ কবে হবে

উপরোল্লিখিত মর্মে বাংলাদেশের ঈদ উদযাপিত হবে ১০ জুলাই 2022

চলুন দেখে নেই বাংলাদেশের ঈদের তারিখ এর সাথে কোন কোন দেশের ঈদের তারিখ মিল রয়েছে

  • বাংলাদেশ
  • ভারত
  • পাকিস্তান
  • নেপাল
  • ভুটান

এছাড়া আরো অনেক দেশিই রয়েছে যারা 10ই জুলাই 2022 ঈদুল আযহা উদযাপন করবেন ।


চলুন সংক্ষিপ্ত ভাবে  কুরবানীর ইতিহাস ও তাৎপর্য  জেনে নেই

 ইতিহাস ও তাৎপর্য

পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বপ্রথম কুরবানী করেছেন হযরত আদম আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দুই পুত্র হাবিল ও কাবিল তাদের পরস্পরের বিবাহ বিষয়ক দ্বন্দ্বের সমাধানে হযরত আদম আলাই সাল্লাম কে কুরবানী করার নির্দেশ দেন ওই ঘটনার দিকে ইঙ্গিত করে

মহান আল্লাহ তা'আলা কুরআনে কারীমে ইরশাদ করেন

واتلوا عليهم نبا ابني ادم بالحق ان قربا قربانا فتقبل من احدهما ولم يتقبل من الاخر قال لاقتلنك قال انما يتقبل انما يتقبل الله من المتقين

অর্থ

এবং হে নবী তাদের সামনে আদমের দুই পুত্রের বৃত্তান্ত যথাযথভাবে পড়ে শোনাও যখন তাদের প্রত্যেকে একেকটি কোরবানি পেশ করেছিল এবং তাদের একজনের কুরবানী কবুল হয়েছিল অন্যজনের কবুল হয়নি সে দ্বিতীয়জন প্রথমজনকে বলল আমি তোমাকে হত্যা করে ফেলব প্রথমজন বলল আল্লাহ তাদের পক্ষে হতেই কোরবানি কবুল করেন (সূরা মায়িদা.5 আয়াত.27 )

এইভাবে যুগে যুগে বিভিন্ন দেশ জাতি গোষ্ঠী ও ধর্মে কুরবানীর প্রচলন হয়েছিল যেমন

 আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেন

ولكل امه جعلنا منسكا ليذكروا اسم الله على ما رزقهم من بهيمه الانعام فا فا له كم الي هو واحد فله اسلموا وبشر المخبتين

অর্থ

আমি প্রত্যেক উম্মতের জন্য কুরবানীর নিয়ম করে দিয়েছি যাতে আল্লাহ তাদেরকে যে চতুষ্পদ জন্তু সমূহ দিয়েছেন তাতে তারা আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে তোমাদের মাবুদ  একই মাবুদ সুতরাং তোমরা তার অনুগত করবে আর সুসংবাদ দাও  বিনীতদেরকে  (সুরা হজ 22 আয়াত 34)

অন্যত্র আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন

والبدن جعلناها لكم من شعائر الله لكم فيها خير

 অর্থ

কোরবানির উট ও গরুকে তোমাদের জন্য আল্লাহর শায়ের এর অন্তর্ভুক্ত করেছে তোমাদের পক্ষে তাতে আছে কল্যাণ (সুরা হজ 22 আয়াত 36)

অন্য আয়াতে বলেন

ان صلاتي ونسكي ومحياي ومماتي لله رب العالمين

 অর্থঃ 

নিশ্চয়ই আমার নামাজ আমার ইবাদত ও আমার জীবন মরণ সবই আল্লাহর জন্য যিনি জগতসমূহের প্রতিপালক (সূরা আনআম 6 আয়াত 162)

আরো ইরশাদ করেন 

لن ينال الله لحومها ولا دماؤها ولكن يناله التقوى منكم

অর্থ 

আল্লাহর কাছে তাদের গোশত পৌঁছে না আর তাদের রক্ত ও না বরং তার কাছে তোমাদের তাকে পৌঁছে (সূরা হাজ 22 আয়াত 37)

এসকল আয়াত থেকে প্রতীয়মান হয় যে ইসলাম ধর্মে কোরবানি দেয়া মিস্ক প্রথা পালন বা উৎসব নয় বরং একটি স্বতন্ত্র ইবাদত ও তাকওয়া অর্জনের মাধ্যম

কুরবানীর ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট

 সারা দুনিয়ার সকল মুসলমান প্রতিবছর জিলহজের 10 11 ও 12 তারিখে যে কোরবানি পালন করে আসছে তাদের রয়েছে বিশেষ একটি ইবাদত ও পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ এক ঐতিহাসিক ঘটনা স্মৃতিচারণ ও বিশ্বের ইতিহাসে যার কোনো নজির নেই গঠনা যেমন তুলনাহীন তেমনি শিক্ষাপ্রদ কোরবানি ছিল আল্লাহর পক্ষ থেকে হযরত ইব্রাহিম আলাই সালাম এর পরীক্ষা সময়ের অন্যতম সত্যিকার্থে তিনি যে আল্লাহর বন্ধু তা যাচাইয়ের উদ্দেশ্যে আল্লাহ তাআলা তাকে অনেক পরীক্ষা করেছেন আল্লাহ তা'আলা বলেন আমি যে পরীক্ষায় ইব্রাহিম থেকে নিয়েছি অত্যন্ত কঠিন পরীক্ষা

ইরশাদ করেন

ان هذا لهو البلاء المبين

অর্থ 

নিশ্চয়ই এটা ছিল একটি স্পষ্ট পরীক্ষা (সূরা আস. সাফফাত 37.আয়াত 106)

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url